সোহরাওয়ার্দীর জনসভায় খালেদা রাজনীতিক বক্তব্য দিয়েছেন: নজরুল
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় খালেদা জিয়া কোনো আক্রোশ নয়, বরং রাজনীতিক বক্তব্য দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভায় গত রোববার খালেদার জিয়ার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যের জবাবে এ কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। রোববারের জনসভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ নিতে আপত্তির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন খালেদা জিয়া। পাশাপাশি নির্বাচনে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েন করা এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) চালুর উদ্যোগ বন্ধের দাবি জানান তিনি। খালেদার জনসভার পর সন্ধ্যায় ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ (গত রোববার) খালেদা জিয়া যে ভাষণ দিয়েছেন, সেই ভাষণ শেখ হাসিনার প্রতি তার আক্রোশের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সে সময় যে সরকার থাকবে, সেই সরকার পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো ‘ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার’ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তা করবে। গতকাল সোমবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা নজরুল বলেন, জনসভায় বেগম খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কোনো ব্যক্তিগত অভিযোগ করেন নাই। তিনি বলেছেন যে, শেখ হাসিনা বা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ যাবে না। এটা রাজনীতিক বক্তব্য, এখানে কোনো আক্রোশের ব্যাপার নাই। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের যে দাবি বেগম খালেদা জিয়া জানিয়েছেন, এটা স্পষ্টই জনগণের আকাক্সক্ষার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ এবং রাজনীতিক দাবি। এর সঙ্গে কারো প্রতি প্রতিহিংসা বা আক্রোশের ব্যাপার নেই। দেশনেত্রী স্পষ্ট করে বলেছেন, বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না। নজরুল ইসলাম খান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যদি সত্যি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, যদি তারা এটা বিশ্বাস করে যে তারা অনেক উন্নয়ন করেছে, জনগণ তাদের ভালোবাসে। তা হলে বেগম খালেদা জিয়া দুইটা চ্যালেঞ্জ করেছেন, যেকোনো একটা গ্রহণ করুন। একটা হলো কোনো বাঁধা না দিয়ে জনসভা করেন– দেখেন কার জনসভায় কত লোক হয়। আরেকটা হলো, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যদি বিজয়ী হয় আমরা তাদেরকে গ্রহণ করব। কিন্তু তারা জানে যে, তাদের কোনো সম্ভাবনা নাই। অতএব তারা দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন করতে চায় এবং সেটা কোনো সরকার? তাদের সরকার। জাতীয় সংসদ বহাল রেখে আরেকটি নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন নজরুল ইসলাম খান। জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম’ ৭১ এর উদ্যোগে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভূমিকা’ শীর্ষক এই আলোচনা হয়। সংগঠনের সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আশরাফউদ্দিন বকুল, সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজি আবুল বাশার, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, সাবেক ছাত্রনেতা আলী আক্কাস নাদিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।